শুধু দুজনায় (দুই পর্বে সমাপ্ত সম্পুর্ণ গল্প)

লিখেছেন লিখেছেন মামুন ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৮:২৩:৫০ সকাল



১.

দেখা হল শাটলে >>

শহরের আড়মোড়া ঠিকমত ভাঙ্গেনি এখনো।

পোশাক কারখানার সেলাই বন্ধু ও দিদিমনিদের পদচারনায় একটু একটু করে ঘুম থেকে জেগে ঊঠছে চাটগা। একটা সিএনজি এসে থামে বটতলি পুরনো রেল ষ্টেশনে। মাথায় হিজাবের সাথে বড় চাদরে বুক ও স্কার্ফে নাক পর্যন্ত ঢেকে একজন নেমে এলো। ভাড়া মিটিয়ে ১নং প্ল্যাটফর্মের দিকে গেলো। দৃপ্ত কিন্তু কেমন যেন মনমরা পদক্ষেপে ভার্সিটির ৮টা ১০ এর ট্রেনে ওঠার জন্য আগায়। কিছুক্ষণের ভিতর তারুন্যের ভিড়ে তাকে আর আলাদা ভাবে খুজে পাওয়া যায় না।

কানের দু’পাশের জুলফিতে পাক ধরেছে। এই বয়সেও তিনি সুদর্শণ। নিজের কাছেও নিজেকে খারাপ লাগে না। প্যাকেট থেকে একটা সিগ্রেট বের করে নাকের নীচে তিনবার আলতো করে ঘষে নিলেন। তামাকের মিষ্টি ও ফুসফুস কেড়ে নেয়া ঘ্রাণে ব্রেইনের ভিতর উন্মাদনার তরঙ্গ দোলা দিয়ে গেল। ঠোটে লাগিয়ে না ধরিয়েই কয়েকটা টান দিলেন। আহ! কিন্তু মনের রাশ টেনে রাখলেন। বা হাতে নিয়ে বুটের তলায় ফেলে ইচ্ছেমত পিষে ফেললেন।

সিগ্রেটটা।

ধুমপান বাদ দিয়েছেন আজ দু’সপ্তাহ। নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আর নয়। সেই অনুযায়ী এভাবে একের পর এক সিগ্রেট ধংস করছেন। তবে এতে কাজ হচ্ছে। একটু একটু করে মন ও শরীর – উভয়েই মেনে নিচ্ছে।

ষোলশহর রেলষ্টেশনে একটু আগেই এসেছেন। অনেক বছর আসা হয় নাই এই একসময়ের প্রিয় যায়গাটিতে। এখানের প্রতিটি ইঞ্চি ইঞ্চি জায়গা ওনাকে চিনে। উনিও চিনেন। আজ প্রিয় এই জায়গাটিতে খুব প্রিয় একজনের আসার কথা। সে ও আসছে...

অনেক বছর পরে আজ দুজনের দেখা হবে!

মাঝখানে দু’জনের দুটি পথ ছিল দু’দিকে।

একটু উত্তেজনা-ভয়-শঙ্কা... আর... আরো কি যেন একটা অনুভব করছেন। সময়ের কোন সে নাম না জানা ঘ্রাণে ওনার ভিতর বাহির মৌ মৌ করছে। আরো একটা বেনসন এন্ড হেজেজ নাকের নীচে ক’বার ঘষে পায়ে মাড়িয়ে ষ্টেশনের ভিতরে ঢুকে পড়লেন।

কেন দূরে থাকো>>

রেখা একটা বগিতে কোনোমতে দরোজার এক পাশে দাড়াবার জায়গা পেয়েছেন। এই বগির গ্রুপ ভিত্তিক নাম ‘খাইট্যা খা’। একতিল জায়গা খালি নেই। ছেলে-মেয়েরা একসাথে দাড়িয়ে-বসে গানের তালে তালে ক্যাম্পাসের দিকে চলেছে। বগীটাতে সিগ্রেটের ধোঁয়ায় রেখার চোখ জ্বলছে। তবে অন্য মেয়েগুলোর তাতে কোনো অসুবিধে হচ্ছে না।

রেখা আশ্চর্য হল না। ওদের সময়েও যখন প্রতিদিন শহর থেকে আসত, তখন তো ওরও চোখ জ্বলে নাই। আসলে এটা অভ্যাস।

শুধুই কি অভ্যাস?

নাহ! আরো কিছু একটা আছে, যার কারণে এই একই পথে একই ভাবে একই সুরে বছরের পর বছর পথ চলাতে কোনো একঘেয়েমি লাগে না। অথচ ওর নিজের জীবনের কথা ভাবলে তাল খুজে পায় না। অনেক বৈচিত্র দেখেই না সে স্বেচ্ছায় মাসুদের সাথে ঘর-বেধেছিল।

রাসেলকে ফিরিয়ে দিয়ে।

এই পনেরটি বছরে সে চারটি সন্তান ধারণের কষ্ট সহ্য করে একজন মা হয়েছে। কিন্তু একজন স্ত্রী হতে পারে নাই। মাতৃত্তের স্বাদ পেলেও অর্ধাংগীনির স্বীকৃতি পায় নাই। আসলে ওকে দেয়া হয় নাই।

একটা মেয়ে পাদানিতে ওর বয় ফ্রেন্ডের হাতে হাত ধরে বসে আছে। ট্রেনের ঝাকুনিতে পড়ে যাবার ভয় থাকলেও ওদের হাতে হাত এমন সুদৃঢ় বাঁধনে জড়ানো যে, সেখানে কোনো অনিশ্চয়তার অবকাশ নেই। ঠিক একই ভাবে সে আর রাসেলও তো ছিল। কিন্তু সেই বাঁধন রেখা নিজেই ছিন্ন করে এক আলগা সুতোর উপরে বোনা সম্পর্কের ভিতরে প্রবেশ করেছিল।

ভুল করে!

ভুল? সেটা কি ভুল ছিলো? নাকি ইচ্ছেকৃত সচ্ছল ভবিষ্যতের পানে ধেয়ে চলার এক চিরন্তন প্রবৃত্তির কাছে নিজেকে সঁপে দেয়া...

বগির দেয়ালে একজন ড্রাম বাজাচ্ছে। একজন ভরাট গলায় গান ধরেছে-

‘কেন দূরে থাকো

শুধু আড়াল রাখো

কে তুমি কে তুমি আমায় ডাকো

কেন দূরে থাকো...’

হৃদয়ের ভিতরে অঝোর ধারায় বর্ষণ হচ্ছে টের পেলো। অনেক কষ্ট হচ্ছে সেই ধারাকে চোখ পর্যন্ত আসতে বাঁধা দিতে।

ট্রেন ঝাউতলা ষ্টেশন ছেড়ে ষোলশহরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

সাথে নিয়ে যাচ্ছে রেখা নামের চল্লিশোর্ধ এক মমতাময়ীকে যে কিনা নিজেই মমতা বিলিয়ে বিলিয়ে এখন একটু মমতার আশায় সব কিছুকে ফেলে চলে যাচ্ছে ওকে ধরে থাকা একসময়ের সেই দৃঢ় হাতটির কাছে।

যে কিনা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে ষোলশহর ষ্টেশনে।

আর পারা গেল না। ঝাপসা চোখে দুপাশের সবুজ অন্যরকম লাগছে। ওদিকে ভরাট গলা থেমে নেই। গেয়েই চলেছে...

‘...মনে হয় তবু বারে বারে

এই বুঝি এলে মোর দ্বারে

সে মধুর স্বপ্ন ভেঙ্গো নাকো...

অনেক দিনের পরে যেন বৃষ্টি এলো>>

ট্রেন শেখ ফরিদের চশমা মোড়ে মাথা ঢুকিয়ে দিয়েছে। রাসেলের বুকের ভিতর এক ছলক রক্ত নাচানাচি শুরু করল। তবে কোন দিক থেকে কোন দিকে এর গতিপথ সেটা বোঝার সময় নাই এখন। এইতো আর কিছুক্ষণ!

এরপরেই জীবন থেকে চলে যাওয়া একটা অধ্যায় আবার নতুন করে ওর সামনে হাজির হবে।

ওর অতীত... আনন্দময় বিষাদে ভরপুর!

একটা বন্ধ জানালা - ইট দিয়ে গেঁথে দেয়া একটা দেয়াল। অনেক চেষ্টা করেও যেটা ভাঙ্গতে পারেনি সে। এতোগুলো বছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাটিয়ে বেড়িয়েছে...

শুধুমাত্র নিজের থেকে পালানোর জন্য?

কিন্তু পারলো কি? সেই তো ফিরে আসতেই হল।

ওর প্রিয় মানুষটির কাছে।

মোবাইল বের করে রেখার নাম্বারে কল দিলো।

রেখা মোবাইলে ভাইব্রেশন দিয়ে হাতেই রেখেছিল। রিসিভ করল,

: হ্যা, বল।

: কোন বগিতে?

: আমি দরোজার সামনেই আছি। দেখ, ‘খাইট্যা খা’ লেখা আছে, বগীর গায়ে।

: তুমি কি এই পাশে?

: হ্যা, তোমার দিকেই।

মোবাইলটা হাতে নিয়েই নির্দিষ্ট বগিটা খুঁজতে থাকে রাসেল। মনে মনে হাসে। একটা সময় কি গেছে! সেই বটতলিতে ভোরে এসে সীট রেখে ষোলশহর থেকে উঠতো। কিছু প্রিয় মুখের সাথে ঊঠার জন্য এই এত দূরে আসতো সে। তাদের ভিতর সব থেকে বেশী প্রিয় ছিল এখন যে মুখটিকে খুঁজছে সে।

বেশীক্ষণ খুঁজতে হল না। একটা দম বন্ধ করা অনুভুতি নিয়ে সেই অনিন্দ্য প্রিয় মুখটিকে এতোগুলো মানুষের ভিতর থেকে দেখে ফেলল। অথচ মুখের অর্ধেকটা ওড়নায় ঢাকা।

তারপরও! ওই মুখে যে সেই দুটি চোখ রয়েছে!!

কত রাত- কত মুহুর্ত এই চোখ দুটিকে সে খুঁজে ফিরেছে।

রেখাও একই সাথে রাসেলকে দেখেছে। মুহুর্তেই আশপাশের সকল ভীড়-ছেলেমেয়েদের বাঁধ-ভাংগা উচ্ছাস- সবকিছুই অদৃশ্য হয়ে সেখানে কেবল মাত্র একটি সুদর্শণ মুখচ্ছবি... হাল্কা নীলের ব্যাকগ্রাউন্ড... সাদা মেঘের কেবল অলস উড়ু উড়ু মনোভাব। হৃদয়টা যেন একটা ড্রাম... আর রাসেলকে দেখে সেটা বেজে উঠেছে... স্বরের সপ্তম গ্রামে।

ভীড় ঠেলে একটা হাত ওর দিকে বাড়িয়ে দিল... অতীতের একটা অতি পরিচিত হাত। যে হাতকে একদিন সে প্রত্যাখ্যান করেছিল।

আজ কোনো কিছু না ভেবেই সেই হাতকে আঁকড়ে ধরল রেখা... পরম মমতায় ও একমাত্র নির্ভরতায়।

হারিয়ে যাওয়া দুটি হৃদয় আজ এতোগুলো বছর পর কাছাকাছি এসে কি করবে দিশে হারিয়ে ফেলেছে। শেষে বৃষ্টি এসে ওদেরকে আরো কাছে এনে দিল।

ভীড়ের ভিতর হৃদয়ে হৃদয় মিশিয়ে দাড়িয়ে থাকল ওরা।

বললে ভালবাসি হাতটি ধরে>>

ট্রেনের গতি তেমন বেশী না। তারপরও লাইন তেমন ভাল না থাকায় আরো গতি চাইলেও তোলা যাচ্ছে না। রেখা এবং রাসেল এখন পাশাপাশি বসে আছে। বগীর একজোড়া ছেলে-মেয়ে কি মনে করে নিজেরা সীট ছেড়ে দিয়ে ওদের দুজনকে বসতে দিল। আপত্তি করলেও ওরা প্রায় জোর করেই বসাল।

অনেক কথা মনে পড়ে যাচ্ছে রেখার। রাসেলের সাথে সেই উদ্দাম দিনগুলোর কথা। রাসেলময় জীবনের সেই প্রতিটি মুহুর্ত... ক্যাম্পাসের প্রতিটি ইঞ্চি ইঞ্চি জায়গায় হাত ধরে ঘুরে বেড়ানো... মদনহাট থেকে রিক্সায় করে লম্বা সেই রাস্তায় রিক্সায় করে দুজনের ঘুরে বেড়ানো... প্রচন্ড বাতাসে হুড খোলা রিক্সায় পাশাপাশি বসে রাসেলের হাত ওর কটিকে জড়িয়ে ধরে থাকা... সেই স্পর্শের অনুভুতি! আজ এই যে পাশাপাশি বসে ওর পুরুশালী শরীরের ঘ্রাণ ও ছোঁয়া সে পাচ্ছে... পনের বছর আগের রিক্সায় বসেও সে একই অনুভুতিতে আচ্ছন্ন ছিল।

রেখার পাশে বসে রাসেলের মনে হল, দাঁড়িয়েই বেশ ছিল। সামনাসামনি দুটো হৃদয়ের এক হওয়া বেশ অনুভব করছিল। চোখে চোখে তাকিয়ে থাকার সেই পুরনো খেলাটা খেলতে ইচ্ছে করছে। পুরনো দিনের কিছু কথা আবার মনে পড়ে গেল। ট্রেনের দুলুনিতে রেখার সাথে বারবার কাঁধে ও বুকে লাগছে। কেমন একটা ভাললাগার অনুভুতিতে আচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছে রাসেল।

রেখার জন্য নিজেকে এখনো অপেক্ষা করিয়ে রেখেছে সে। জীবন সঙ্গী হিসেবে অন্য কোনো মেয়েকেই সে কল্পনায়ও স্থান দিতে পারে নি। আসলে রেখাকে ভুলে যাওয়া ওর পক্ষে আগেও সম্ভব হয় নি... ভবিষ্যতেও হবে না।

গ্রুপের ছেলে-মেয়েগুলোর প্রানখোলা গান আর হাসি-ঠাট্টায় ট্রেন চৌধুরী হাট ছাড়িয়ে চলে এলো। এখানে এক বন্ধুর বাড়িতে সে আর রেখা অনেক একান্ত সময় কাটিয়েছে। সেসব স্মৃতি ওকে অনেক নস্টালজিক করে তুলল। রেখার একটা হাতের ওপর ওর নিজের হাত রাখল। একটু কেঁপে উঠে রেখা ওর দিকে তাকালো। রেখার চোখে কি রাসেল আগুন জ্বলে উঠতে দেখল। তবে তা এতো অল্প সময়ের জন্য যে, একবার মনে হল দেখার ভুল হয়ত। তবে সেই দিনগুলোতে যখন খুব করে একান্তে ওকে চেয়েছিল, তখন এই আগুন দেখেছিল। কিন্তু দুজনেই কখনো সীমা অতিক্রম করে নাই।

রেখা রাসেলের হাতের স্পর্শে প্রথমে একটু চমকে উঠল... একটা তরঙ্গ কোথা থেকে যেন এসে ওর চোখে ভর করে মুহুর্তেই মিলিয়ে গেল। রাসেল হাতটা সরিয়ে নিল। রেখা ব্যথিত হল। কিন্তু বলতে পারল না, ‘কি হল? সরিয়ে নিলে কেন?’ তাহলে সময় ওদের ভিতর থেকে সেই সহজ সম্পর্কটাকে মুছে দিয়েছে। ওর নিজের ভিতরে একটা অদম্য স্পৃহা পুরনো সেই সহজ সম্পর্কটাকে ফিরিয়ে আনতে চাইল...

রাসেল যুদ্ধ করছে... নিজের সাথে। ওর চোয়াল দৃঢ় হল। আর একটু কাছে এলো রেখার। শরীরের এবং মনের। একটা হাত এবার নিজের হাতে তুলে নিল। তবে এবার ছেড়ে দেবার জন্য ধরে নাই। রেখাকে বলল,

: রেখা!

: হ্যা!

: কোথায় তুমি?

: তোমার ভিতরে !

: 'তুমিটা' কে?

: আমি!

: ভালবাস এখনো?

দুজনে দুজনের দিকে হাতে হাত ধরা অবস্থায় জবাবের অপেক্ষায়...

চোখে চোখে তাকিয়ে আছে...

পুরো কম্পার্টমেন্টের সকলেই যেন স্তব্ধ হয়ে আছে একটা জবাব এর প্রতীক্ষায়...

রাসেলকে সারা শরীরে আনন্দের বান তুলে দিতেই যেন একটি জবাব ভেসে এলো প্রাগৈতিহাসিক কোনো এক সময়ের অতল গহ্বর থেকে-

: হ্যা!

গ্রুপের সেই সুন্দর ছেলেটা ভরাট গলায় গাইছে,

‘... কাটতো সময় কত গল্প করে

বললে ভালবাসি হাতটি ধরে

আমি ভুলবো না... আমি ভুলবো না

আমি ভুলবো না তোমাকে...’

ট্রেনটা ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছালো... তখনো ওরা একে অপরের হাতটা ধরে আছে।

এ জীবনে দ্বিতীয় বার ছেড়ে যাবার মত ভুল মনে হয় আর করবে না! Good Luck

(ক্রমশঃ)

বিষয়: সাহিত্য

৮৪৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

260693
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৪০
আজিম বিন মামুন লিখেছেন : অনেক ভাল লেগেছে,শুভ কামনায়..
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:২৬
204504
মামুন লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভ কামনা আপনার জন্যও।Happy Good Luck
260750
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:২৩
কাহাফ লিখেছেন : প্রায় সবার জীবনেই এমন একজন থাকে,যাকে শত চেষ্টাতেও ভূলা সম্ভব হয়না কোন দিন।ভুলতে চাইলেই আরো বেশী করে মনে পড়ে।শুভ কামনা রাসেলদের জন্যে।অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই আপনাকেও...... Rose Rose
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১০
204635
মামুন লিখেছেন : হ্যা, রাসেলদের জন্য বেশী বেশী শুভ কামনার প্রয়োজন রয়েছে।
আপনাকে ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা রইলো।Happy Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File